চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজারস্থ বাজারপাড়া এলাকায় উঠতি বয়সের বখাটে চক্রের কবলে জিন্মি হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতা জামাল উদ্দিনের পরিবার। বখাটেদের নানা ধরণের হুমকি ধমকির মুখে বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবারটি মেয়েরা লেখাপড়া করতে স্কুলে যেতে পারছেনা।
অভিযোগ উঠেছে, ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী জামালের বাড়িতে বিয়ের জন্য বরপক্ষের লোকজন মেয়ে দেখতে আসলে তাদেরকেও বাঁধা দিচ্ছে বখাটেরা। সর্বশেষ গত ১০ মে আক্রান্ত পরিবারটিতে বিয়ের জন্য মহেশখালী থেকে মেয়ে দেখতে আসেন বরপক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে বরপক্ষের একজনকে পিটিয়ে বেধম প্রহার করেন। পরে অভিযুক্তরা আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসেনের জিন্মায় দিয়ে পালিয়ে যান।
আক্রান্ত পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে অনুসন্ধানে অভিযুক্ত বখাটে চক্রের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। অভিযুক্তরা হলেন কোনাখালী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজারস্থ বাজারপাড়া এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে হাসান, আবদুল গনীর ছেলে মানিক, আবু ছৈয়দের ছেলে অনিক, নুরুন নবীর ছেলে রিফাত ও তাদের সহযোগি শাহীন ছরওয়ার জিকু।
আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকর্তা কোনাখালী ইউনিয়নের বাংলাবাজারস্থ বাজারপাড়া গ্রামের ছব্বির আহমদের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪৪) জানান, পেশায় তিনি একজন ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতা। কয়েক কেজি মাছ কিনে তা বাজারে বিক্রি করে কোনমতে সংসার চালান। তাঁর সংসারে স্ত্রী ছাড়া আছে পাঁচ মেয়ে। তারমধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। বর্তমানে চারটি মেয়ে সন্তান বাড়িতে রয়েছে।
জামাল উদ্দিন জানান, বর্তমানে তাঁর মেঝ মেয়ে দশম শ্রেণীতে, সেজ মেয়ে অষ্টম শ্রেণীতে, ছোট দুই মেয়ে একজন সপ্তম শ্রেনীতে ও অন্যজন পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছেন। ইতোমধ্যে মেজ মেয়ের বিয়ের জন্য মহেশখালী থেকে একটি ঘর এসেছে। কিন্তু গত ১০ মে বিকালে এলাকার কিছু বখাটে প্রকৃতির ছেলে খবর পেয়ে আমার বাড়িতে আগত মেহমানকে বাজারে ধরে মারধর করেছে। এসময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা মারধরের পর মেহমানকে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের কাছে দিয়ে পালিয়ে যায়।
গৃহকর্তা জামাল উদ্দিন অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত বখাটেরা দীর্ঘদিন ধরে আমার স্কুল পড়–য়া মেয়েদেরকে বিদ্যালয়ের যাওয়া আসার পথে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। পথে-ঘাটে গতিরোধ করে তাঁরা মেয়েদেরকে অপদস্ত করছে। বর্তমানে অভিযুক্তরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়ায় আমার মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে পারছেনা। এ অবস্থায় আমার পরিবার ও স্কুল পড়–য়া মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বখাটেদের কবলে মাছ বিক্রেতার পরিবার জিন্মি রয়েছে এ ধরণের কোন অভিযোগ জানা নেই। তবে আক্রান্ত পরিবারটির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পাঠকের মতামত: